ভোলা প্রতিনিধি | টিভি টুডে
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কামারপট্রি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের পর তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে স্থানীয় শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী নিজেই বাদী হয়ে এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রোববার (২৯ জুন) দুপুরে স্থানীয় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ উদ্দিন, তার সহযোগী আলাউদ্দিন ও তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মো. রাসেলসহ ৫–৭ জন ব্যক্তি ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তাকে এসএস পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় এবং আহত অবস্থায় আটকে রাখা হয়।
পরবর্তীতে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও আটকে রাখা হয় এবং তার ওপর যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে। এ সময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “আমাকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর, আমার স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে আমার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে।”
৯৯৯ নম্বরে ফোন, পুলিশ উদ্ধার করে মামলা নেয়
পরিস্থিতির অবনতি হলে ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং মামলাটি গ্রহণ করে।
চিকিৎসা ও তদন্ত
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী নারীকে ভর্তি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাদের নাম রয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলায় যাদের নাম এসেছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।” তিনি আরও জানান, “ঘটনার সঙ্গে বাদীর দ্বিতীয় স্ত্রীও জড়িত থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
দলীয় প্রতিক্রিয়া এখনো মেলেনি
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।